র্যাব-৪ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, একটি সংঘবদ্ধ পেশাদার চক্র সাধারণ জনগণকে চাকুরী দিয়ে এবং চাকুরী দেয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উক্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই ও সরেজমিনে অনুসন্ধানের আলোকে র্যাব-৪,সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল গত ১৯/০৭/২০২১ ইং তারিখ রাত ০১.৩০ ঘটিকায় রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন মনিপুরীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত জালসনদপত্র ও বিভিন্ন নথিপত্রসহ নিম্নোক্ত কুখ্যাত প্রতারকচক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেন গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল মালেক (৪২), জেলাঃ কুষ্টিয়া।
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
ক। ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র- ১টি
খ। ভুয়া জন্মসনদ- ৬০টি
গ। ভুয়া নাগরিকত্ব সনদপত্র- ১৮টি
ঘ। এতিমখানার ভুয়া প্রত্যয়নপত্র- ০৮টি
ঘ। ৫৫ লক্ষ টাকার এফডিআর কপি
চ। ব্যাংক চেক বই- ০৬টি
ছ। সরকারি কর্মকর্তার ভুয়া সিল- ০৬ টি
জ। ক্লিপ চার্ট- ১টি
ঝ। ল্যাপটপ- ১টি
ঝ। কম্পিউটার সিপিইউ- ১টি
ট। প্রিন্টার- ১টি
ঠ। নগদ ২১০৮৫ টাকা
ড। মোবাইল- ১টি।
মোঃ আব্দুল মালেক ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া জেলায় জম্মগ্রহন করে। দাখিল ও আলিম পাশ করে স্থানীয় একটি কলেজ থেকে বি.কম এবং এম.কম ডিগ্রী লাভ করে। সে শিক্ষাজীবন শেষ করে ২০০৪ সালে “বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর” খামারবাড়ী, ফার্মগেট এ “অফিস সহাকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর” পদে চাকরী পায়। মূলত চাকুরী লাভের পর থেকে চাকুরীপ্রার্থীদের সাথে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১০ সালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সত্যতা প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাকে ২০১৫ সালে চাকুরীচ্যুত করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী তার কৃত অপকর্মের বিষয়টি স্বীকার করেছে। পলাতক আসামী আব্দুর রাজ্জাক (৫০), আল-আমিন (২৫) এবং অবিনাষ (৩২) সহ তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় তার এই প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, আসামীর ঢাকায় অভিজাত এলাকায় তিনটি ফ্ল্যাট ও ধামরাইয়ে ৮.২৫ শতাংশ জমি ছাড়াও কুষ্টিয়া তে একটি সুপার মার্কেট, একটি পাকা বাড়ি, ৪টি ট্রাক, একটা বাস ও ২৫ বিঘা জমি রয়েছে।
Leave a Reply