খুড়েছে তা শত বর্ষ পার হয়ে ষাট বছর আগে।
কত তাল আম জাম খেজুর গাছের ছিল ছড়িছড়ি এরি তীর জুড়ে।
খেলাধুলা করেছি, ভুতুড়ে সমরিতি নিয়ে।
সেরার পেয়া্রা কাকা হয়েছে ভুত
আমারা পেয়েছি ভয়।
সরালী কুকুর ধেয়ে গেছে, ভুত গিয়েছে হারিয়ে সেই চাঁদনী রাতে।
বড় কাকা রত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে, বড় দাদা গিয়েছে কুড়াতে কালগাছের তাল ।
পেয়েছে ভয় এসেছে ফিরে।
গভীর রাতে বড় কাকা ডেকে বলে, একবাল মিয়া ওটা কিছু নয়, শুধু এক শকস, কুলফু আল্লাহ পড়ে বুকে দাও ফু ।
কেটে যায় ভয়, কুড়ায় তাল চালায় সংসার ।
আসে ভাদ্র মাস, পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট বাকী মিয়া ।
মাথায় পড়ে তার বিরাট তাল, ছোট্ট বাকী এক খিঁচুনিতে হয়ে যায় অর্ধ মৃত।
কোথা হতে ছুটে আসে শাফিক দাদা, চিৎকার করে উঠলো ওরে বাকী কী হলো তোর ।ডলে হাত পা ঢালে পানি মাথায়।
চিৎকার করে উঠলো বাকী, আমি কোথায় ।
সবার মুখে হাসি।
কোথায় ওরা, বড় কাকা, বড় দাদা, শাফিক দাদা, বাকী দাদা।
এরা সবাই গেছেন চলে।
রয়েছে শূধু সেই পুরোনো পুকুর এখনো ভরা পানি দিয়ে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ রাশেদ।
আদাবর।
৩০.৮.২০.
Leave a Reply