বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ
বরিশাল র্কীতনখোলা নদীর পূর্ব পার চরকাউয়া ইউনিয়নের উত্তর পার্শ্বে খালের ওপার ও পামের হাটে চলছে অভিযানে জেলেদের কাছ থেকে নিয়ে আসা অবৈধ কারেন্ট জালের রমরমা ব্যাবসা।
বরিশাল নগরী সংলগ্ন র্কীতনখোলা নদী ও সুগন্ধা, কালা বদর, আড়িয়াল খাঁ, মেঘনা সহ বিভিন্ন নদীতে মা ইলিশ রক্ষার্তে অভিযান শেষে নতুন জাল মাঝিরা নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরিশাল নৌ পুলিশের মাঝি মোঃ সোহরাবসহ তাদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে যারা অবৈধ কারেন্ট জালের রমরমা ব্যাবসা করছে পামের হাট বাজারে। জেলেদের কাছ থেকে নিয়ে আসা কারেন্ট জাল অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও থেমে নেই জাল বিক্রির সিন্ডিকেট। বাংলাদেশে সরকারের নির্দেশনা অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলার। কিন্তু পুরাতন ও ছিড়ে যাওয়া জাল গুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। সেখানে মাঝিরা নতুন কারেন্ট জাল গুলো নিয়ে যায় এবং পুনরায় জাল গুলি জেলেদের কাছে বিক্রি করে দেয়।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়- একটি ঘরের ভিতর আনুমানিক ত্রিশ হাজার মিটার ও বাহিরে দশ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আছে এবং কিছু দালালের মাধ্যমে জাল বিক্রি করছিল। সর্বনিম্ন এক একটি জাল চার হাজার থেকে পাচ হাজারও সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল।
সরকারের কঠোর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও মাঝিদের অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যাবসা থেমে নেই। কারেন্ট জাল বিক্রির সময় মাঝিদের নিজস্ব কিছু লোক থাকে তারা নদীর পাড়ে এবং রাস্তায় ঘোড়াফেরা করে পুলিশ, সাংবাদিক বা কোন অচেনা ব্যাক্তিকে দেখলে তারা মাঝিদেরকে ফোন করে সর্তক করে দেয় এবং মূহুর্ত্তের মধ্যে জাল গায়েব করে ফেলে। নয়া কৌশলে চলছে তাদের রমরমা কারেন্ট জালের ব্যাবসা।
একপর্যায়ে মাঝিরা সাংবাদিক ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ বিষয়ে জানান, ডিউটি শেষে আমাদের কোন টাকা দেওয়া হয়না টাকার বিনিময়ে আমাদের জাল দিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে নৌ থানার ওসি মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন- যদি কোন মাঝি জাল বিক্রির সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাকে প্রসাশনের হাতে ধরিয়ে দিন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানূগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply