নওগাঁ সদর উপজেলা ৮ নং হাসাইগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হাবিল মোল্লার উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন- জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিল মোল্লার উপরে জঘন্যতম বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত ও জখম করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগীনা মোঃ মিন্টুর নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী। প্রকৃত অপরাধী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
গত সোমবার দুপুরে অনুমানিক বেলা ১২টায় নওগাঁ সদর উপজেলার ৮ নং হাসাইগাড়ী ইউনিয়ন বাজারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিল মোল্লা দলীয় কর্মী ও নির্বাচনী সমর্থকদের নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের ক্যাম্পিং করছিলেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীদের উপর্যুপরি লাঠিচার্জে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছেন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন ও জাতীয় পার্টির কর্মীরা তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।প্রার্থী হাবিল মোল্লা বর্তমানে নওগাঁ উপজেলা সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। প্রার্থীর সাথে থাকা জাতীয় পার্টির মহিলা কর্মীদেরকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করা হয়। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্মকর্তা এবং মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর কাছে প্রার্থীর স্ত্রী নাসরিন বেগম লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে অবহিত করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কোনো ধরনের তৎপরতা দেখাননি। পুলিশ প্রশাসনও তেমন কোন ভূমিকা রাখেনি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরো বলেন- হাবিলের উপর হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির দায় নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে। অহরহ এভাবে হত্যা ও হামলার ঘটনা রাজনীতিকে কলুষিত করে ফেলেছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করলে ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
Leave a Reply